আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করা ও নিজেদের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত মনে করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে বলেছেন, `বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ওয়াশিংটনের একতরফা দাবিগুলো চীন কোনভাবেই মেনে নিবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো দেশ যদি বিশ্বের মধ্যে নিজেদেরকে সর্বশেষ্ঠ মনে করে এবং তাদের দেওয়া মতামতই চূড়ান্ত বলে ধরে নিলে চীন তা কোনভাবেই মানবে না।’
হংকং ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তজার্তিক ইস্যুতে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ না মনে করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত। কিন্তু এই আলোচনা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে। ’
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জনসম্মুখেই তিক্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বৈরিতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। তবে এ জন্য উভয়পক্ষেরই অন্যের প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোকে সম্মান জানাতে হবে এবং চীন কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দাবি ও শর্ত মেনে নিবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে বলেছেন, ‘চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থুল হস্তক্ষেপের শক্ত প্রতিরোধ করব আমরা। এ ছাড়া মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেআইনি একতরফা নিষেধাজ্ঞারও বিরোধিতা করব। চীন কখনোই পিছপা হতে পারে না কারণ আমাদের পেছনে অনেক উন্নয়নশীল, ছোট ও মাঝারি দেশ রয়েছে। তবে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও পরিচয় রক্ষার জন্য চীনের অবশ্যই পাল্টা আক্রমনের অধিকার রয়েছে।’
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্পর্ক আবারো ঠিকঠাক করতে চাইছে বেইজিং। তবে সহযোগিতা এবং মার্কিন চাপ প্রতিরোধ এ দুইয়ের কারণে সংকটে পড়েছে চীন।