বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কন্ট্রোল কমিশনের অন্যতম সদস্য, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মোর্শেদ আলী আর নেই। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে নানাবিধ রোগে ভুগছিলেন মোর্শেদ আলী। গত ২৬ মার্চ ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত কয়েক দিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
কমরেড মোর্শেদ আলীর মরদেহ গতকাল বেলা ১১টায় হাসপাতাল থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে নিয়ে আসা হয়। প্রথমেই সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতারা কাস্তে-হাতুড়ি খচিত কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকা দিয়ে প্রয়াতের মরদেহ আচ্ছাদন করেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর বিভিন্ন দল, সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সিপিবির বিভিন্ন শাখা ও কমিটি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, টিইউসি, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, উদীচী, খেলাঘর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি, সাপ্তাহিক একতা, মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনী, মণি সিংহ-ফরহাদ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কমরেড মোর্শেদ আলীর স্মরণে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এ দেশের কমিউনিস্ট, প্রগতিশীল আন্দোলনে কমরেড মোর্শেদ আলীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তার স্বপ্নের সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে অগ্রসর করার অঙ্গীকার করছি।
পরে ‘কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল’ গেয়ে সিপিবি ও বিভিন্ন বামপন্থি দলের নেতাকর্মীরা মোর্শেদ আলীকে শেষ বিদায় জানান। দুপুরে মুক্তিভবন থেকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার জানানো হয়। এর পর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরের বাসভবনে। পরে ঈশ^রদীর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।