স্ত্রীদের সঙ্গে মুঠোফোনের কথোপকথন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সাথে আমার ফোন আলাপ, আমার স্ত্রীদের সাথে আমার কথোপকথন-এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয়। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে যে, আমার সেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কথোপকথন জনসম্মুখে তুলে ধরে আমার নাগরিক অধিকার, আমার ধর্মীয় অধিকার, আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় যারা হস্তক্ষেপ করেছেন, তারা প্রচলিত আইনে চরম অপরাধ করেছেন। তারা ইসলামি শরিয়াতের আইনেও অন্যায় ও অপরাধ করেছেন।‘
হেফাজতে ইসলামের নেতা বলেন, ‘ইসলামি শরিয়াতের বিধান লঙ্গন করার কারণে আমি আল্লাহ আদালতে বিচার দায়ের করব। প্রচলিত আইন লঙ্গন করে আমার ব্যক্তিগত গোপনীতা লঙ্গন করার অপরাধে যারা দুষ্ট, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব। আমি আমার ব্যক্তিগত আইন পরামর্শদাতাদের সঙ্গ ইতোমধ্যে পরামর্শ করা শুরু করেছি। অচিরেই আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘আমি সকলকে অনুরোধ করছি, যারা ইতোমধ্যে এই ধরনের কোনো সীমা লঙ্গন করেছেন তাদের এই ধরনের কার্যকলাপ এখনই বন্ধ করবেন। অতীতের এসব কাজের জন্য আমার কাছে ও জাতির কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইবেন, অন্যথায় আমি আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। আমার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা আমি মনে করি মানবতাবিরোধী একটি অপরাধ। আমার এই মানবাধিকারকে যারা লঙ্গন করেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যারা মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন, আমি তাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যক্তিগত মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার কতটা লঙ্গিত আজকে আমার এই ঘটনা সেটিকে নতুন করে দিবালকের ন্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছে। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক কথোপকথন প্রকাশ করে কলরেকর্ড ফাঁস করে পারিবারিক জীবনে যে অস্থিরতার পায়তারার যে ষড়যন্ত্র তারা করেছেন, ইনশাল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। তাদের এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে ইনশাল্লাহ।’