ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি, উসকানি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৬) বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হয়েছে। পরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ আবদুল খালেক
বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। গত বুধবার ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলাম মাদানী গাছা এলাকায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বক্তব্য দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১ ডিএডি মোহাম্মদ আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীর ‘উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে’ ২৬ মার্চ ঢাকায় বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়।
রিমান্ড আবেদনের ব্যাপারে মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার তার ব্যাপারে কোনো রিমান্ড আবেদন করেনি। পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করার পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।
রফিকুল নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাসপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহসভাপতি।