পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে চলাচলের রাস্তা নিজের দাবি করে সেখান থেকে ইট তুলে ফেলেছেন এক আনসার সদস্য ও তার স্ত্রী। এমনকি রাস্তাটি খুঁড়ে চলাচলের অনুপযোগী করারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
ফরাজী বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটি ২০১৩ সালে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি আরও ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে তা আবারও সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ রাস্তাটি নিজের দাবি করে সেখান থেকে ইট তুলে ফেলেছেন নুরুজ্জামান শেখ ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রাস্তাটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীরাসহ কয়েকশ লোক ইন্দুরকানী উপজেলায় যাতায়াত করেন। রাস্তাটি নষ্ট করায় বিপাকে পড়েছেন কয়েকটি পরিবার ও নিয়মিত চলাচলকারীরা।
এ ছাড়া, রাস্তাটি গ্রামের ইউসুফ আলী শেখ, সাইফুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ। একই ঘটনায় এর আগে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে ইউএনও এসে পুনরায় রাস্তায় ইট বসানোর নির্দেশ ও রাস্তা অবরুদ্ধ না করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী শেখ বলেন, ‘আমাদের চলাচলের রাস্তার সরকারি ইট তুলে রাস্তাটি কেটে ফেলেছে নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী খাদিজা। ফলে আমরা তিনটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমাদের চলাচলের বিকল্প কোনো পথ নেই।’
রাস্তা থেকে ইট তুলে ফেলার কথা স্বীকার করেন আনসার সদস্য নুরুজ্জামান শেখ। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে কারও চলাচলের পথ দেওয়া হবে না। আমরা আমাদের সুবিধামতো স্থান থেকে চলাচলের রাস্তা করে দিতে চাই। কিন্তু অভিযোগকারীরা সেটা মানতে চায় না। তাই ইট তুলে রাস্তা কেটে ফেলেছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহিদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার ফেলে দেওয়া ইট তুলে এনে পুনঃস্থাপন করি। এরপরে যদি কেউ রাস্তা নষ্ট ও অবরুদ্ধ করে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’