সেরাকণ্ঠখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নাবিলা রাহনুম। সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে তার কণ্ঠে নতুন গান। নতুন গান ও সংগীতের পথচলা নিয়ে কথা হয়।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- তারেক আনন্দ
২০১৪ সালে সেরাকণ্ঠের দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছিলেন। মাঝে কেটে গেছে সাত বছর। শিল্পী হিসেবে আপনি গত সাত বছরে খুব একটা পরিচিতি পাননি। কেন?
রিয়েলিটি শো থেকে বের হওয়ার পর নিজেকে সেভাবে প্রকাশ করতে পারিনি। তা ছাড়া ভালো কাজের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।
প্রকাশ না করতে পারার কারণ?
সেরাকণ্ঠে আসার পর আমার পড়াশোনা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পড়াশোনা ছিল চট্টগ্রামে। এর পর পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। সে কারণে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে একটা বিশাল গ্যাপ তৈরি হয়। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছি। ফাঁকে ফাঁকে টিভি লাইভ ও স্টেজ শো করা হচ্ছে। সলো গান নিয়ে আসা হয়নি। দুই বছরের মতো তো করোনার কারণে পিছিয়ে গেলাম। এর মাঝেই নতুন গান প্রকাশ হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে নিজের স্বকীয়তার জানান দিতে পারছি।
এর মধ্যে কী কী গান প্রকাশ হয়েছে।
করোনার মাঝেই গত বছর জুয়েল মোর্শেদের সুর-সংগীতে আসিফ আকবর ভাইয়ের সঙ্গে দ্বৈতগান ‘প্রেমজল’ প্রকাশ হয় সিডি চয়েসের ব্যানারে। এটিই ছিল শিল্পী হিসেবে আমাকে প্রেজেন্ট করার মতো প্রথম গান। প্রকাশ হয়েছে শাওন গানওয়ালার সঙ্গে দ্বৈত গান ‘ভালোবাসা আছে জমা’, এইচএম ভয়েসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হয় ‘শূন্য’, ডেডলাইন মিউজিক থেকে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে ‘ও আসমানের চাঁদ’ গানের মিউজিক ভিডিও। এ ছাড়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ‘গুলবাহার’ এ আমি পাঁচটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। তিনটি গান প্রকাশ হয়েছে। বেলাল খানের সুরে আরেকটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছি।
নতুন গানটির সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
জিসান খান শুভর চমৎকার কথা ও সুরে ‘ও আসমানের চাঁদ’ গানটির সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ। এখন পর্যন্ত যারাই গানটি শুনেছেন, প্রশংসা করছেন। এই গানটি নিয়ে আমিও আশাবাদী।
মিডিয়ায় এসে কাজ করতে গিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আপনার ক্ষেত্রে এই পথ সহজ না কঠিন, কী মনে হচ্ছে?
কীভাবে কাজ করতে হয় সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না। আমার সঙ্গে যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের সঙ্গেই কাজ হয়েছে। বিশেষ করে অডিও ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আমি একদমই জ্ঞানশূন্য। সমসাময়িক যারা আছেন তাদের অনেকেই অনেক কাজ করছেন। তবে আমার তাড়াহুড়া নেই, নিজের মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরার আরও চেষ্টা করব। সম্প্রতি একটি ব্যান্ডে যোগ দিয়েছি।
আপনার ব্যান্ড সম্পর্কে জানতে চাই...
আমি সাবকনসাস্্ ব্যান্ডের ফিমেল ভোকাল হিসেবে জয়েন করেছি। ব্যান্ডের হয়ে গাওয়াটা আমার কাছে কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। এখন নিয়মিত পারফরম করে খুব ভালো লাগছে।
আপনি চট্টগ্রামের মেয়ে। গানের হাতেখড়ি হয়েছে কার কাছে?
বাসায় সংগীতচর্চা হতো। আমার বড় বোনের কাছেই প্রথমে হাতেখড়ি। এর পর চট্টগ্রামের শ্বাশত ললিতকলা একাডেমিতে পাঁচ-ছয় বছর শিখেছি। শিল্পকলা একাডেমিতে তিন বছরের মতো শেখা হয়েছে। ঢাকা এসে ক্ল্যাসিক্যালে তালিম নিয়েছি প্রয়াত ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে।