অর্থ আত্মসাৎ মামলা
অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করে তারা হাজির না হওয়ায় গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাঁচ আসামি হলেন সাউথবাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. মঞ্জুরুল আলম, এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, ব্যাংকটির খুলনা শাখার সাবেক এমটিও এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তপু কুমার সাহা, সিনিয়র অফিসার বিদ্যুৎ কুমার ম-ল ও মারিয়া খাতুন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
একেএম আমিন উদ্দিন জানান, দুর্নীতি মামলায় এ আসামিরা জামিন আবেদন করেন। পরে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় এলে তারা হাজির হননি। এর আগেও একদিন তালিকায় ছিল সেদিনও আসেননি। এর পর সোমবার তারা আবেদন নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) চেয়েছেন। পরে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন। তারা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজি, ইমিগ্রেশন ও দুদককে নির্দেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (এসবিএসি) সাবেক
চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহার অনুসারে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভুয়া স্টক লট প্রস্তুত করে এসএম আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। এতে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ তুলে ওই টাকা পাচারের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন আসামিরা।