লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত সাজ্জাদুর রহমান সজিবের পরিবারে থামছে না কান্নার রোল। দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা মা শামসুন্নাহার।
নিহত সজিব নয়নপুর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছেলের শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন শামসুন্নাহার। তাকে সান্ত¡না দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না প্রতিবেশী ও স্বজনরা। ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন শামসুন্নাহার। নিহতের বোন সুফিয়া, সোনিয়া ও ভাগিনা তারেক এবং চাচা মুরাদ জানান, নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে ৪-৫ জনে মিলে সজিবকে পিটিয়ে হত্যা করে। দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তারা। তবে প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন সজিব।
পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় দুদু মিয়াসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, রবিবার সকাল থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হঠাৎ বিকালে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার লোকজন কেন্দ্র থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় লাঠি দিয়ে পায়ে ও মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়েন সজিব। তাদের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন বলেন, হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে সজিবের ওপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন তিনি।
পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।