advertisement
advertisement
advertisement.

বিদেশ ভ্রমণে যাদের সতর্ক থাকতে বললো ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
১ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪৬ এএম | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
advertisement..

যারা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত ও বয়স্ক তাদের আপাতত বিদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বিশেষ করে যাদের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস রয়েছে এবং যাদের বয়স ৬০-এর বেশি তাদের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পর্তুগালে এক চিকিৎসক ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার পর লিসবনের বড় একটি শিশু হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহীন।

advertisement

অন্যদিকে, ধারণার চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ডেল্টার চেয়েও অতি সংক্রামক এ ভাইরাস ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ঠেকাতে দেশটির নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশগুলো। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রোমানিয়ায় পৌঁছানো বিমানের একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের ফিরিয়ে দিয়েছে রোমানিয়ার সরকার।

সেইসঙ্গে সিঙ্গাপুরে কোনোভাবেই যেন ওমিক্রন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই কঠোর সব পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সিঙ্গাপুরে ভ্রমণকারীদের করোনা নেগেটিভ নিউক্লিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরেক দেশ পর্তুগাল। পর্তুগিজ সরকার জানিয়েছে, বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল সীমান্তেও দেশটিতে প্রবেশকারীদের কঠোর নজরদারি মধ্যে রাখা হবে। বাধ্যতামূলক কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এরইমধ্যে দেশটির লিসবনের বড় একটি শিশু হাসপাতালে এক চিকিৎসক ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন। এরপর পরই ওই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা ২৮ জনকে বর্তমানে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর কঠোর অবস্থানে রয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আপাতত লকডাউনে না গেলেও জানুয়ারির মধ্যে সকল পূর্ণ বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার দাবি ঢালাওভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধ সম্ভব নয়। বরং এতে করে মানুষের জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা তাদের। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বদলে আপাতত গুরুতর রোগে আক্রান্ত ও বয়স্কদের ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে যারা ক্যানসার, ডায়াবেটিসের রোগী এবং যাদের বয়স ৬০ এর বেশি তাদেরকে আপাতত ভ্রমণ এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।