কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদী দখল ও প্যারাবন কেটে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম। মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক প্রভাবশালীর নাম বাদ পড়ায় তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’-এর প্রধান নির্বাহী
রাশেদুল মজিদ। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বাঁকখালী নদী ও প্যারাবন রক্ষা করা যাবে না।
গত বুধবার কক্সবাজার পৌরসভার কস্তুরাঘাট এলাকায় অবৈধভাবে প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদী সংযোগকারী খাল ভরাটের স্থানে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাঁকখালী নদীর তীরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি প্রকল্প’-এর কয়েকশ একর প্যারাবনের প্রায় ১৫ হাজার গাছ কেটে প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। কিছু ভরাটকৃত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে ঘর। রুকন উদ্দিনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ৩ থেকে ৪ মাস ধরে প্যারাবন কেটে খালের জায়গা ভরাট করে দখলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিছু জায়গায় ভরাটকৃত স্থানে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করতেও দেখে পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম। একইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ভরাটের উদ্যোগ দেখে টিমটি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদী ও নদীর প্যারাবন রক্ষায় ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’।