নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কামাল
নিজের সন্তানের ডিএনএ টেস্ট না করানোর জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেছেন রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসিন্দা কামাল হোসেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস আসমা তার এক সন্তানকে অন্য পুরুষের দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্তানের বাবা যে অন্য ওই পুরুষ তা প্রমাণ করতে সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করাতে চায় আসমা। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না কামাল হোসেন। সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে কামাল হোসেন ও তার সাবেক স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস
আসমার সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। এর পর তিনি বিভিন্ন লোকজন দিয়ে কামাল হোসেনকে ভয়ভীতি দেখান। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (কামাল) গত ১ ডিসেম্বর খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ নভেম্বর সকালে নিকুঞ্জ-২ এলাকায় ৩-৪ জন যুবক মোটরসাইকেলে এসে তার রিকশার গতিরোধ করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এমনকি তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সূত্র জানায়, কামাল হোসেনের সাবেক স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস আসমা নিজেকে নার্স (সেবিকা) বলে পরিচয় দেন।
এদিকে কামাল হোসেন আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘সে (আসমা) আমার সন্তানদের নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে। ওরা পড়াশোনা করে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এখন যদি আমার সন্তানদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং ডিএনএ টেস্ট করাতে হয়, তা হলে আমি মুখ দেখাব কী করে?’
এ বিষয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আসমার বক্তব্য জানতে নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।