সরকার অন্যায়কে ধামাচাপা দেওয়ার নতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জাতিসংঘ, দাতা দেশ এবং সংস্থাগুলোর উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকারে সরকারের আত্মতৃপ্তির অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে আসম রব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নিদারুণ হাহাকারে সরকার মানবিক সহায়তা না দিয়ে নতুন করে তথ্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যা বিপর্যস্ত পরিবারগুলোকে আরও ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা করার কোনো অভিপ্রায়ই সরকারের নেই তা প্রমাণিত হয়েছে। বরং সরকার অন্যায়কে ধামাচাপা দেয়ার নতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়,দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এসব ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ও অন্যায়ে জড়িতদের চিহ্নিত করার পরিবর্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অপতৎপরতার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানকে উপেক্ষা করা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,গুমের শিকার এসব পরিবার দিনের পর দিন স্বজনদের ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন, প্রতিটি মুহূর্ত তারা নানা নিরাপত্তাহীনতা আর ভীতির মধ্যে রয়েছেন, এই অবস্থায় মানবিক সহায়তার বদলে তথ্য সংগ্রহের নামে তাদের বাস্তবতাকে আরও ভয়ঙ্করতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
জেএসডি সভাপতি বলেন, নাগরিকদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার অব্যাহতভাবে খর্ব করার তৎপরতা রাষ্ট্রকে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলেছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার বা খারিজ না করে সেগুলো আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ সরকারের জরুরি কর্তব্য।
আসম রব বলেন, সুতরাং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নাগরিকের জীবন সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমগ্র প্রক্রিয়া বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা।