চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সরগম অবস্থা। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত এখন বিএফডিসি। ভোট চাইতে প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেখানে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের নির্ধারিত স্থানে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। সে প্রচারণায় যুক্ত হন শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ শিল্পীর কয়েকজন।
তখন ‘কৃষ্ণপক্ষ’খ্যাত এই তারকাকে ভোটাধিকার হারানো এক জ্যেষ্ঠশিল্পী জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। তার কান্না দেখে রিয়াজও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হাউমাউ করে কাঁদেন। কান্না করতে করতে রিয়াজ বলেন, ‘এই মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকান, তাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। এই মানুষগুলোর কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে চাই।
কিন্তু বিষয়টিকে ‘মায়া কান্না’ বা ‘অভিনয়’ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তার ভাষ্য, ‘সবকিছু হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। রিয়াজ ভাইয়ের মতো অভিনেতা অভিনয় করে মেকি কান্না করছেন। অথচ এই রিয়াজ ভাই কি সে যাচাই-বাছাই কমিটিতে ছিল না, ছিল। আপনি সম্মানিত লোক এসব নোংরামি করা বন্ধ করেন। বিপরীত প্যানেলের অনেকেই এই নোংরামিতে জড়িত। তার সঙ্গে অন্য সংগঠনের অনেকেই যোগ দিয়েছেন। তারা শিল্পী সমিতির ভালো চান না।’
এর আগে, কিছু সদস্যের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন রিয়াজ। উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘কাগজপত্রে রিয়াজ ভাইয়েরও সাইন আছে। রিয়াজ ভাই যদি সহযোগী সদস্য করতে না চাইতেন তাহলে তিনি সাইন কেন করলেন? সর্বশেষ আমরা কিছু সদস্যকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রিয়াজ ভাই সেখানেও ভেটো দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। নির্বাচনে মিশা-জায়েদ ও কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।