শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ব্যাংকটিকে তিন দফায় সময় বাড়িয়ে দেওয়ার পরও লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণ করতে পারেনি। চতুর্থ দফায় সময় বাড়ানোর জন্য ব্যাংকটি আবেদন করলে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেল। প্রস্তাবিত এ ব্যাংকটিতে উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআইয়ের সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। আবারও ব্যাংকটি সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিল। তবে পর্ষদ সভায় সময় বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে শর্ত পূরণ না হওয়ায় কয়েক দফায় এলওআইর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে ব্যাংকটি। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।