প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গতকাল রবিবার সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিকে হালদারের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের জানিয়েছিল যে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার বিরুদ্ধে যে মামলা বিচারাধীন, সেই মামলায় বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
বন্দি বিনিময় চুক্তির আলোকে তাকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে দেশে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ তিনি জনগণের টাকা পাচার করেছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্থাগুলো পিকে হালদারের বিষয়ে তৎপর। তৎপরতার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশের যে টাকা ভারতে পাচার করা হয়েছে, আমরা তা ফেরত আনার চেষ্টা করব। কারণ এটা এ দেশের জনগণের টাকা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পিকে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেন।