লেখালেখিই ছিল তার আসল পছন্দ। ফান ম্যাগাজিনে লিখতেন নিয়মিত। সেখান থেকেই বিনোদন অঙ্গনে লেখার জন্য প্রবেশ ঘটে তার। হয়ে যান বিনোদন সাংবাদিক। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে করেছেন বিনোদন সাংবাদিকতা। সেই সূত্র ধরেই নাটক লেখা শুরু। একটা সময় লিখতে লিখতেই হয়ে গেছেন নাট্যনির্মাতা। নাটক বানানোয় মনোযোগ দেওয়ায় পৃথিবীর অনেক কিছুই ছেড়ে দেন। এমনকি দেশের শীর্ষ পত্রিকার চাকরিও ত্যাগ করেন। পুরোটাই ঢেলে দিচ্ছেন নাটক নির্মাণে। মানুষের মনের গহিনে যে স্বপ্ন লালিত থাকে সেটা একদিন বাস্তবে ধরা দেবেই। সেটাই প্রমাণ করেছেন জাকারিয়া সৌখিন। বর্তমান সময়ে নাটকের জগতে নিজের শৌখিনতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। একের পর এক মনোমুগ্ধকর নাটকের সুতো গেঁথেই চলেছেন। ঈদ আসে ঈদ যায় সৌখিনের নাটক আসতেই থাকে। শুধু আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, দর্শকের মনও কেড়ে নিচ্ছেন। নিজের মৌলিকতার ছোঁয়া প্রতিটি নাটকে দেখা যায়। ভালোবাসার হাত দিয়ে বানিয়ে যাচ্ছেন মিষ্টি রোমান্টিক প্রেমের গল্প। শুধু লুতুপুতু প্রেমনির্ভর না থেকে বাস্তবিক চিত্র দেখা যায় সৌখিনের নাটকে। ইতোমধ্যেই তার লেখা ও নির্মাণ করা অনেক নাটকই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। ঈদুল ফিতরে প্রচার হওয়া নাটকগুলোর মধ্যে দর্শকের মনে বিশেষভাবে দাগ কেটেছে ‘ভুলোনা আমায়’। নাটকটির গল্প, নির্মাণশৈলী ও অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। ইউটিউবেও বাংলাদেশের ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে যে কটি নাটক রয়েছে তার মধ্যে এটি একটি। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে প্রেমের গল্প নিয়ে পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন নির্মাণ করেছেন ‘ভুলোনা আমায়’। নাটকটি রচনা করেছেন সোহেল রানা শ্রাবণ ও জাকারিয়া সৌখিন যৌথভাবে। নাটকটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল। তাদের জুটির রসায়ন পছন্দ করেছেন দর্শক। নাটকটিতে রয়েছে ‘ভুলোনা আমায়’ ও ‘প্রেমের আগুন’ নামে দুটি গান।