প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রায় সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নিয়মিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায়ও উঠেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ।
গত শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজকেন্দ্র থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম সুমন জোয়াদ্দার (৩০)। তার প্রবেশপত্রের পেছনে ৭০ নম্বরের উত্তর লেখা ছিল।
ডিবি বলছে, পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। গ্রেপ্তার সুমন বাইরে থেকে প্রবেশপত্রের পেছনে সমাধান লিখে নিয়ে যান।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজধানী থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান নিখিল রঞ্জন ধরের নাম আসে পুলিশের তদন্তে। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের আরেকটি ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক এক কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে গত বছর ছয় কোটি টাকা পায় সিআইডি। আর ভর্তি পরীক্ষার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীসহ ১২৫ জনের বিচার গত বছর শুরু হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন সংগ্রহ করে কৃতকার্য হয়ে যারা চাকরির প্রত্যাশা করেন, তারা চাকরির ক্ষেত্রটাকে অশোভন করে তোলেন। সমস্যাটা নৈতিকতাবোধের; বিচারহীনতার পরিবেশে এ ধরনের প্রবণতা সং¯ৃ‹তির অংশ হয়ে ওঠে। তাদের যেভাবেই হোক খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধীরা শাস্তি পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।