advertisement
advertisement
advertisement.

নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে জামায়াতের ৪৯ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
১৭ মে ২০২২ ০৫:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ০৬:০৯ পিএম
সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে জামায়াত-শিবিরের ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত
advertisement..

চট্টগ্রাম মহানগরীর টেরি বাজারের একটি রেস্তোরাঁ থেকে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জামায়েতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে টেরি বাজারের আল বয়ান হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল চাকমা, জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম।

advertisement

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নগরীর কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদ আলম (৪৭), কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখা জামায়াতের প্রধান সমন্বয়কারী ফরিদ উদ্দীন (৪৪), বায়তুল সম্পাদক মো. নুরুল কবির (৬৫), দপ্তর সম্পাদক এমদাদ উল্ল্যাহ (৩৪), জামায়েতের রোকন সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), জামায়েতের টেরি বাজার বক্সিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ জোগানদাতা আবুল মনছুর (৫০), টেরি বাজার শাখা জামায়েতের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির (৫০), টেরি বাজার কাটাপাহাড় শাখা জামায়েতের সভাপতি রাশেদুল করিম রাশেদ (৩৪), সহ-সভাপতি হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম (৩৮), মোহাম্মদ ইসরাফিলসহ জামায়েত-শিবিরের ৩৯ জন।

সিএমপি দক্ষিণের উপকমিশনার জসিম উদ্দীন বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে টেরি বাজার আল বয়ান হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৪৯ জন জামায়েত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক জন জামায়েতের পদধারী নেতা।

সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জামায়েত-শিবিরের নেতাকর্মীরা টেরিবাজার এলাকায় গোপন বৈঠক করছিলেন এমন সংবাদ ছিল পুলিশের কাছে। বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে কোতোয়ালী থানা জামায়েতের আমিরসহ ১৭ জন পদধারী নেতা আছেন।

ওসি বলেন, এসবের অর্থ জোগান দিচ্ছিলেন আবুল মনসুর নামের একজন ব্যবসায়ী। যিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়েত-শিবিরকে নানাভাবে অর্থায়ন করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।