দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে পাশে থাকায় দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। মানুষের শক্তিতে সব সময় বিশ্বাস করেন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছিল বলেই পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বুধবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০১১ সালে এপ্রিল থেকে জুনে ঋণচুক্তি সইয়ের পর শুরু হয় ষড়যন্ত্র। ব্যক্তিস্বার্থে বিশেষ এক ব্যক্তির উদ্যোগে ষড়যন্ত্র শুরু হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরে আরও কয়েকজন যুক্ত হয়েছে। ব্যাংকের একটি এমডি পদ একজনের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হয় কী করে! ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের মানুষের কেউ ক্ষতি করতে পারেÑ এটা সত্যিই কল্পনার বাইরে ছিল। তিনি আরও বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড়াও বিশ্বব্যাংকের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ ছিল, যারা অন্যায্যভাবে কিছু কিছু বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠানকে (সেতু নির্মাণকাজের) যোগ্য করার লক্ষ্যে পরোক্ষ চাপ দিতে থাকে। রাজি হইনি।
এর পর থেকেই তারা পদ্মা সেতুর কার্যক্রমে বাধা দিতে থাকে। দুদক তদন্ত করে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি। পরে কানাডার আদালতেও প্রমাণিত হয়, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়Ñ যারা বলেছিলেন তাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কেন আত্মবিশ^াসের অভাব আমি জানি না। যুদ্ধ করে বিজয়ী জাতির মনোবল কেন তাদের নেই। উনাদের ভেতর যেন একটা পরাজিত মনোভাব। মনে হয় যেন পাকিস্তানি আমলে এই প্রদেশে একটা যে পরাধীনতার গ্লানি, তারা সব সময় সেই আত্মগ্লানিতেই ভোগেন। তিনি আরও বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি যেটা পারব, সেটাই বলব। যেটা বলব, ইনশাআল্লাহ সেটা আমি করব। সেটা আমি করে দেখাতে পারি, সেটা আমরা করেছি। এ জন্য দেশবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
২০১২ সালে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার পর কে কোন ভাষায় তার সমালোচনা করেছিলেন, তা দিন তারিখসহ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন। প্রথমেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক আলোচনাসভায় বিএনপি নেত্রী বললেন, ‘পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না।’ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের বক্তব্য মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে ছিলাম, তিনি আমাদের অর্থ সচিব ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে বললেন, ‘বিশ্বব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের পক্ষে পরবর্তী ঋণ সহায়তা পাওয়া খুব দুষ্কর হয়ে পড়বে। যখনই কোনো দাতা সংস্থা কোনো নতুন প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী হবে, তারা দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশকে ভিন্ন চোখে দেখবে। সরকার যদি বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে, তা হলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে, কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। কাজেই যে কথা তারা বলেছে, এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। এ সময় বদিউল আলম মজুমদার, আহসান এইচ মনসুর, ইফতেখারুজ্জামান, সালেহ উদ্দীন, শাহদীন মালিক, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ২২ জনের পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক নেতিবাচক বক্তব্য এবং এর জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় দেশের প্রথম মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান ও দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্যানেলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রয়াত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকে জামিলুর রেজা সাহেব নেই, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাই, যখন বিশ্বব্যাংক- এই রকম মহারথীরা সরে গেল, তারা কিন্তু সরে যাননি। তারা কিন্তু সাহস দেখিয়েছেন এবং তারা এই উপদেষ্টা প্যানেল, তারা কিন্তু কাজ করেছেন এবং তারা যদি আমাদের পাশে না দাঁড়াতেন, আমরা এটা করতে পারতাম কিনা সন্দেহ। তারা কিন্তু পিছু হটেননি। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হতাম, যদি আজকে জামিলুর রেজা সাহেব বেঁচে থাকতেন, এই সেতুটা দেখে যেতে পারতেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৯৭ সালে জাপান সফরে পদ্মা ও রূপসার ওপর তিনি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিলে জাপান রাজি হয়। ২০০১ সালে পদ্মা সেতুর সমীক্ষার তথ্য আসে। ওই বছরের ৪ জুলাই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে অগ্রাধিকার তালিকায় যুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার। ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০১০ সালে নকশা চূড়ান্ত হয়। পরের বছর জানুয়ারিতে সংশোধিত ডিপিপি দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করায় ব্যয় বাড়ে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৭টির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখা হয়। যুক্ত হয় রেল সংযোগ। কংক্রিটের বদলে ইস্পাত বা স্টিলের অবকাঠামো যুক্ত হয়। পাইলিংয়ের গভীরতা বাড়ে। বাড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ব্যয়। ২০১৭ সাল থেকে সরকার জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ অর্থ দেওয়া শুরু করে। ২০১৬ সালে সেতুর খরচ আবার বাড়ে। ওই সময় ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৯ টাকা কমে যায়। নদীশাসনে নতুন করে ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার যুক্ত হয়। সব মিলিয়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়ে যায়। নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা হয়। সব মিলে পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যে বড় খরচ হয়েছে, সেটা উঠলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে আগে দেখতে হবে, এটার প্রয়োজনীয়তা কতটা।
পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধান করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি নিজে এ বিষয়ে তদন্ত করলে সেটিকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা বলে অনেকে আখ্যা দেবেন। আপনারা (সাংবাদিক) তো তদন্ত করতে পারেন। একজন ব্যাংকের এমডি হয়ে কোনো ফাউন্ডেশনে এত অর্থ কীভাবে দেন? কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা সরিয়ে নিয়েছেন, সেগুলো খুঁজে বের করুন। কোনো ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট করে তার টাকা কীভাবে ব্যক্তিগত হিসাবে চলে যায়? এক চেকে ছয় কোটি টাকা তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করে সেই টাকা ভ্যানিশ করে দেওয়া হলো! ২০২০ সালের কথা। অ্যাকাউন্ট নম্বর তো আছেই। আপনারা অনুসন্ধান করুন, তথ্য বের করুন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা নেব।
বিশ^ব্যাংকের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ভাঁড় ভালো না তো গোয়ালার ঘিয়ের দোষ দিয়ে লাভ কী! বিশ্বব্যাংককে আমি কী দোষ দেব? তারা বন্ধ করল কাদের প্ররোচনায়? পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ^ব্যাংক সরে গেলেও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ হওয়া ওই অর্থ অন্যান্য প্রকল্পে আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যে টাকাটা বাংলাদেশের নামে বরাদ্দ হবে, সেই টাকা নষ্ট করার কোনো রাইট তাদের নেই। হয়তো পদ্মা সেতুতে দেওয়া তারা বন্ধ করেছে, সেই টাকা কিন্তু উদ্ধার আমরা করতে পেরেছি। ওই টাকা অন্যান্য প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পেরেছি। বিশ^ব্যাংক থেকে ভিক্ষা নয়, ঋণ নেওয়া হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দাতা শব্দটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমি বলেছি, কিসের দাতা, এরা (বিশ^ব্যাংক) তো উন্নয়ন সহযোগী। আমি লোন নিই, সুদসহ পরিশোধ করি।
কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের জন্মস্থান কোথায়? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক। তিনি খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলান। জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত। তিনি আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছেন। আরেক দল আছে, সেটিও স্বৈরশাসকের হাতে তৈরি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি, সেগুলোর কাছে কী আশা করেন? ওই দলের নেতৃত্ব কার হাতে? একজন অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। নির্বাহী ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি বয়সের কথা বিবেচনা করে। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও পলাতক।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি একেক সিটে দিনে তিনবার করে প্রার্থী পরিবর্তন করে। ঢাকা থেকে একজন ঠিক হয়। আবার লন্ডন থেকে আরেকজন। যে যত টাকা দিয়েছে, তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা মাঝখানে নির্বাচন ছেড়ে চলে গেল। যখন মাঝপথে কেউ নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন তো মাঠ ফাঁকা। বাকিরা তখন যা খুশি, তা-ই করতে পারে। সেই দোষ তো আওয়ামী লীগের নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো দল নির্বাচনে জয়ী হলে কে সরকারপ্রধান হবেন, সেটা আগেই বিবেচনা করা হয়। তারা যে নির্বাচন করবে, তাতে কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে? সে তো দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কত টাকা খরচ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেল একটু খোঁজ করেন। এখানে গণতন্ত্রের দোষ কোথায়?
বাম দলগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাকি ছিল বাম দলগুলো। তারা তো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হতে হতে দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন! ভাঙতে ভাঙতে বাম থেকে ডানে কাত হয়, কখনো বামে কাত হয়। আছে কে? শক্তিশালী একটা দল করে দেন। মাঠে দেখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, মানবাধিকার আমাদের শেখাতে আসবে কারা? যারা খুনিদের আশ্রয় দেয়! আর যে দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে গুলি হয়ে ছাত্রছাত্রী মারা যায়, রাস্তাঘাটে পুলিশ গলা পাড়িয়ে মেরে ফেলে; তো তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে? হ্যাঁ, এগুলো নিয়ে তারা কথা বলবে আর আমাদের কিছু লোক এটা নিয়ে নাচবে। কিন্তু আমাদের যে আত্মবিশ্বাস আছে, আমরা সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই চলব। জনগণের শক্তি নিয়ে চলব। বাংলাদেশ কোনো চাপের মুখে কখনো নতিস্বীকার করেনি, করবেও না।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা শুরু হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যার ঝুঁঁকি থাকে, পানিটা নেমে আসবে দক্ষিণ অঞ্চলে। সে জন্য আগাম প্রস্তুতি আমাদের আছে। বন্যা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও ত্রাণ তৎপরতা এবং সাংবাদিকদেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।