বহিরাগত এক তরুণের কামড়ে আহত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র মো. আরাফাত হোসেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের তিন তলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বহিরাগত ওই তরুণ বাক প্রতিবন্ধী। তিনি ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা চাচ্ছিলেন। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ভবনে উঠে মার্কেটিং বিভাগের ক্লাসরুমে ঢোকেন। তখন টাকা দাবি করলে ওই শিক্ষার্থী তাকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে চল্লিশ টাকা ফেরত চান। কিন্তু বাকি টাকা দিতে চাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় হাত বাড়িয়ে টাকা চাইলে হাতে কামড় বসিয়ে দেন।
এ বিষয়ে আহত ছাত্র মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘ওই তরুণকে দেখে আমার করুণা হয়। তাই ওই তাকে টাকা দিতে যাই। কিন্তু আমার কাছে ভাঙতি টাকা না থাকায় তাকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে চল্লিশ টাকা ফেরত চাই। কিন্তু ওই তরুণ বাকি টাকা দিতে চাচ্ছিল না। এ সময় আমি টাকা নিতে হাত বাড়াই। আর তখনই হাতের আঙুলে কামড় দিয়ে বসে।’
প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘গেটের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হোক। আমি আহত কমই হয়েছি, তবে আরও বড় কিছুও হতে পারত। এ ছাড়া ওই লোকটি বহিরাগত। পরীক্ষা চলাকালে ক্লাসরুমে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।’
এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র রবিউল আউয়াল রবিন বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে ওই তরুণ (বহিরাগত) এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ফলে আমাদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রশাসনের উচিত বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়া। এর জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।’
অভিযুক্ত ওই তরুণকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা শাখা) মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বহিরাগতের আক্রমণে আমাদের শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এটি দুঃখজনক। আর ওই (বহিরাগত) বাক প্রতিবন্ধী তরুণকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রক্টর স্যার ও সহকারী প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলে ছেড়ে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘বহিরাগত ছেলেটি প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিরাপত্তাকর্মীদের আরও সচেতন হওয়ার কথার কথা বলেছি।’