ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের সঙ্গে স্বপ্ন পূরণের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও ছিল নানা আয়োজন।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রদর্শন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সহকারী জিহোন ইসলামের সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব পাসপোর্ট ও ভিসা ইকবাল আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুয়েত নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান, প্রথম সচিব ও দূতালয় নিয়াজ মোরশেদ।
পদ্মা সেতু ভিডিও চিত্র প্রদর্শন এবং উদ্বোধন উপলক্ষে নির্মিত থিমসং প্রদর্শন করা হয়। রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসীরাসহ এ সময় বেলুন উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে রাখেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। এটি আমাদের গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। এ সময় কুয়েতের বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।