বর্তমানে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার হারের পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক ও মানসিক চাপ, ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রতিনিয়তই এসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। শুধু গণপরিবহনে যাতায়াত করেই ৪৭ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হন। যার মধ্যে কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়েছেন।
আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ক্যাম্পেইনে এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যান্টি সুইসাইড ক্যাম্পেইন : সুইসাইড রিস্ক ইন পিপল উইথ পিটিএসডি’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক, প্রক্টর মোস্তফা কামাল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিজন বাড়ৈ, কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
ক্যাম্পেইনে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের ডিভিশন অব সাইকিয়াট্রি পরিচালিত অপর এক সমীক্ষায় বলা হয়, পোস্টট্রম্যাটিক স্ট্রেস
ডিসঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ আত্মহত্যাই ঘটে মানসিক রোগের কারণে। পুরুষদের থেকে নারীদের আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বড় একটা অংশ এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত না হলে ১.৬ শতাংশ আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যেত। প্রতি ২০ জন মানুষের মধ্যে একজন এই মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রতি ১০ জন নারীর একজন এই মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-সুইসাইড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার এই হারটা কমিয়ে আনাই আঁচল ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য।