করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার স্কুল-কলেজ খুলে ছিল। কিন্তু ওমিক্রমের কারণে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ফের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বারবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। যার ফলে থমকে গিয়েছিল শিক্ষার্থীদের চিরচেনা জীবন। এতে করে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গতকাল আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়-ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে সুরাইয়া আক্তার আশা নামে ৯ মাসের এক শিশু নিহত হয়। এ সময় পুলিশসহ অনেকে আহত হন। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা হলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামছাড়া ওই এলাকার পুরুষরা। এ ছাড়া ভয়ে এখনো ওই ভোটকেন্দ্র ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের পড়ালেখায় বিঘœ ঘটছে। এ ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করে। এর পর থেকে বাড়িতে কোনো পুরুষ থাকছে না। আর ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন নারীরা। পুরুষরা বাড়িতে না থাকায় কৃষিকাজসহ আয়রোজগার বন্ধ রয়েছে। তারা হাটবাজারও করতে পারছেন না। এ অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূরা। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদেরও। ফলে অভিভাবকরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন- সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কিনা। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আর এলাকার নিরীহ লোকজন যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ভয়ভীতি না পায় সেজন্য তাদের বুঝিয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষাদান অব্যাহত রাখতে হবে।