পেটে প্রচ- ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গার্মেন্টস কর্মী স্থানীয় যুবক মোশারফ হোসেন (৩৫)। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার পেটে টিউমার পাওয়া যায় ও এর সঙ্গে ধরা পড়ে যক্ষ্মা রোগ। টিউমার অপারেশনের সময় পেট ছিদ্র হয়ে গেলে তাকে বাইপাস করে দেওয়া হয়। এর পর তিনি যা খাচ্ছেন তা পেট থেকে সঙ্গে সঙ্গেই বের হয়ে পেটের সঙ্গে বাঁধা পলিথিনে জমা হচ্ছে। সারাদিন খেলেও তার ক্ষুধা মিটে না। এভাবে প্রায় এক বছর ধরে বাড়িতে ধুকে ধুকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। টাকার অভাবে বর্তমানে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে তার। মোশারফ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শালিহর দিগলাপাড়া এলাকার মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে। মোশারফ জানান- গতবছর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিউমার অপারেশনের সময় তার পেট ছিদ্র হয়ে গেলে তাকে বাইপাস করে দেওয়া হয়। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এ হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার তাকে মাদ্রাজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। এদিকে চিকিৎসার ব্যয় বহন করে নিজের সহায়-সম্বল বিক্রি করে মোশারফ আজ সর্বশান্ত। দিন দিন তার শরীর ও স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটা তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার কোনো সক্ষমতা নেই। সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আঁকুতি জানিয়ে ০১৭৬৭-৫৯৪১০৩-এ বিকাশ ব্যক্তিগত নম্বরে সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন মোশারফ।