advertisementsp
advertisement
advertisement.

জিম্বাবুয়ে শিবিরে শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ আগস্ট ২০২২ ০৫:৪৬ পিএম | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২২ ০৬:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
advertisement..

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাতের শিকার হয় জিম্বাবুয়ে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান করেছে।

advertisement

বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার তাকুদজওয়ানাশে কাইতানোকে শূন্য রানে মুশফিকের ক্যাচ বানান হাসান মাহমুদ। নিজের পরের ওভারে ফের উইকেট নেন হাসান। এবার এই পেসার আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে ব্যক্তিগত ৭ রানে মুশফিকের ক্যাচে ফেরান।

রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া একটায় মাঠে গড়ায়। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারতি ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করে।

ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে আক্রমণাত্মক খেলে তামিম ইকবাল ও আনামুল হক ১১ ওভারে ৭১ রান তোলেন। ঝড়ো ব্যাটিং করেন তামিম। দলনেতা শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ১০টি চার ও একটি ছক্কায় ঠিক ৫০ করে বিদায় নেন তানাকা শিভাঙ্গার বলে। তামিমের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি ৫৫তম হাফসেঞ্চুরি।

তামিমের বিদায়ের পর বেশক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার আনামুল হকও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন তিনি। ২৫ বলে ৩টি চারে ২০ রান করেন তিনি। দলীয় শতকের পর আউট হন মুশফিকুর রহিম। ৩১ বলে একটি চারে ২৫ রান করার পর ওয়েসলি মাধেভেরের শিকার হন মুশফিক।

মাধেভেরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই বাঁহাতি ৫৫ বলে ৫টি৬ চারে ৩৮ রান করেছেন। এরপর দলীয় দেড়শ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ৮২ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন। অবশেষে ৪১ বলে ৪১ করে বিদায় নেন আফিফ। সিকান্দার রাজার বলে আউট হওয়া এই বাঁহাতি ৪টি চার হাঁকিয়েছেন। রাজার দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ বলে ১৫ করে এলবির শিকার হন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থেকে যান মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৮৪ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৮০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট পান সিকান্দার রাজা। ২টি উইকেট দখল করেন মাধেভেরে।

এ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর মিশন। কেননা প্রথম ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ গড়েও হেরে যায় সফরকারীরা।

জিম্বাবুয়ে প্রথম ম্যাচ জেতা সত্ত্বেও এ ম্যাচে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের তিনটি পরিবর্তন হয়েছে। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের বদলে দলে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), আনামুল হক, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক), টনি মুনিওঙ্গা, লুক জংওয়ে, ব্র্যাড ইভান্স, ভিক্টর নিয়াউচি, তানাকা শিভাঙ্গা।