ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে নিউইয়র্কে যে তদন্ত চলছে, সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও তিনি গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণ এবং কর সুবিধা পাওয়ার জন্য ট্রাম্প তার সম্পদের সঠিক মূল্য না দিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, হেয় প্রতিপন্ন করতেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসায় তদন্ত সংস্থা এফবিআই অন্য আরেকটি অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের যে অধিকার দেওয়া আছে, সেটির আওতায় আমি প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকেও এই জেরার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের তদন্ত চলবে এবং আইন ও তথ্য প্রমাণ যেদিকে নিয়ে যায় তারা সেদিকে যাবেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প হয়তো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ তদন্তের সময় উত্তরগুলো তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনেছিলেন। এর ফলে কোনো মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না।