advertisement
advertisement
advertisement.

ঋতু পরিবর্তনে হঠাৎ ঠান্ডা লাগার ভয়? জেনে নিন করণীয়

অনলাইন ডেস্ক
১৩ নভেম্বর ২০২২ ১১:৪২ এএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১১:৪২ এএম
শীতকালীন সর্দি-কাশি।
advertisement..

শীতের শুরুতেই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-ঠান্ডা সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। নভেম্বর মাস মানেই হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এই সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

দিনের বেলায় রোদের কারণে বেশ গরম লাগলেও সন্ধ্যা হতেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। গরম-ঠান্ডার এই সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না অনেকের শরীর। গলা ব্যথা, কাশি, ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা এই ঋতুতেই বেশি হয়।

advertisement

সাধারণত ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বরের বেশকিছু সাধারণ উপসর্গ থাকে যেগুলো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একইরকম হয়ে থাকে। নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, কাশি, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।

হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেলে আর্দ্রতার পরিমাণও কমে যায়। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখা জরুরি। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হলে তা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন :

১. ফ্লু ভ্যাকসিন নিন। এটি ভাইরাল ইনফেকশন থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।

২. এ সময় আবহাওয়ার ধরন বুঝে পোশাক পরুন। গরম পোশাক পরার পর হালকা আরাম বোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই আবার খুলে রাখবেন না। তাপমাত্রা বাড়লে তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে শরীরকে।

৩. খুব সকালে কিংবা সন্ধ্যায় জরুরি না হলে বাইরে যাবেন না। এ সময় দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দূষণের মাত্রা বেশি এবং তাপমাত্রা কম থাকে। 

৪. পুরো শরীর আবৃত রাখে এবং আপনাকে উষ্ণতা দিতে পারে এমন পোশাক পরুন। 

৫. বেশি বেশি তরল খাবার ও ফলমূল খান। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হঠাৎ অসুখে পড়ার ভয় কম থাকে।

৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সাইট্রাস জাতীয় ফল, ব্রকোলি, আদা, রসুন, সবুজ শাক, দই, বাদাম ও তৈলাক্ত মাছ যোগ করুন খাবারের তালিকায়। 

৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। নিয়মিত হাত ধোওয়ার অভ্যাস করুন। জীবাণু সাধারণত একজনের মাধ্যমে অন্যজনের কাছে ছড়ায়। নিয়মিত হাত পরিষ্কার করলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে। 

৮. সঙ্গে সব সময় টিস্যু রাখুন। কাশি বা সর্দি মোছার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন। ফলে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।