রাজধানীর গেন্ডারিয়ার কামাল স্মৃতি পাঠাগারে ‘বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ’ এর উদ্যোগে হয়ে গেল অভিন্ন বই পাঠ কর্মসূচি ২০২২ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে দেশের ৫২টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের পাঠকরা তিন মাস বই পাঠের পর মূল্যায়নে অংশ নেন এবং সেই মূল্যায়নে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
কবি, সাংবাদিক এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর লিখিত ‘এক অনন্য পিতা পুত্রীর গল্প’ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির, ‘মুক্তিযুদ্ধের উপেক্ষিত বীর যোদ্ধ’ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এবং নির্বাচিত কবিতা ‘বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য’ বইটি কলেজ পর্যায়ের পাঠকদের জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানমালর প্রথম অধিবেশনে গ্রন্থবিতানের সভাপতি গাজী মো. নেয়ামত হোসেনের সভাপতিত্বে লালবাগের গ্রন্থবিতান লাইব্রেরিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর এবং ‘অভিন্ন বই পাঠ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি শাহনেওয়াজ।
মফিদুল হক তার বক্তব্যে দেশের সকল সামাজিক শক্তিগুলোর একত্রিত হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ ছাড়া সারা দেশের পাঠাগারগুলোর অভিন্ন বইপাঠ কর্মসূচিটি আরও ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করার কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক পাঠাগার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘গ্রন্থাগারের ঐতিহ্য নবায়ন’ শীর্ষক একটি কর্মশালা পরিচালনা করেন।
কবি মিনার মনসুর দেশের পাঠাগারগুলোর যেকোনো উদ্যোগে পাশে থাকার অঙ্গীকার পূনর্ব্যাক্ত করেন।
দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল ৩টায় গেন্ডারিয়ার কামাল স্মৃতি পাঠাগারে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিমিন হোসেন রিমি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ।
অংশগ্রহণকারী ৫২টি পাঠাগার থেকে নির্বাচিত তিনজন শ্রেষ্ঠ পাঠককে আইএফআইসি ব্যাংক এবং আগামী প্রকাশনীর পক্ষ থেকে বই এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৩ সেপ্টেম্বরে এক সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ বইপাঠ কার্যক্রমের সূচনা হয়। অক্টোবর মাস জুড়ে পাঠাগার/গ্রন্থাগারগুলোর নির্বাচিত পাঠকদের অংশগ্রহণে বইপাঠ কার্যক্রমের মাধ্যমে মূ্ল্যায়ন এবং নির্বাচিত পাঠক বাছাই সম্পন্ন হয়।