advertisement
advertisement
advertisement

একশ ফুট দীর্ঘ রাস্তা না থাকায় সেতুও অচল

গাংনী

স্বর্ণা হাসান,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
২৭ নভেম্বর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৫ এএম
বেতবাড়িয়া-মধুখালী গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর এই সেতু চালু হয়নি রাস্তার অভাবে -আমাদের সময়
advertisement

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া জেলার বেতবাড়িয়া-মধুখালী গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও ৭ মাসেও চালু হয়নি। মাত্র ১০০ ফিট রাস্তা না হওয়ার কারণে সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না দুই জেলার কয়েক লাখ বাসিন্দা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু চলাচল উপযোগী করার দাবি স্থানীয়দের।

চলতি বছর প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে গাংনী ও দৌলতপুর উপজেলার বেতবাড়িয়া-মধুগাড়ী মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর গার্ডার সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি। দৌলতপুর উপজেলার পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেতু নির্মাণের ৭ মাসেও তৈরি হয়নি গাংনী অংশের সংযোগ সড়ক। মাত্র একশ ফিট রাস্তা না থাকায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে গাংনী ও দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। এতে খরচের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক, ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কৃষকরা হেঁটে মাথায় বোঝা নিয়ে অনেক কষ্ট করে সেতুতে উঠছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেল, ভ্যান ও বাইসাইকেল কয়েকজন মিলে ঠেলে সেতুতে উঠলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় বাস-ট্রাকসহ বড় ধরনের যান চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে এক এলাকার সবজি বা কৃষিপণ্য অন্য এলাকায় যেতে পারছে না। জমি জটিলতা কাটিয়ে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হলে দুই জেলার বাসিন্দাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও শিক্ষাসহ নানা সুবিধা পাবে।

advertisement

স্থানীয়রা জানান, মাত্র ১০০ ফুট দীর্ঘ রাস্তার না থাকায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে যেতে পারেন না।

কৃষক আবদুল জলিল বলেন, মাথায় করে বোঝা (ফসল) নিয়ে আনতে অনেক কষ্ট হয়।

advertisement

কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইদুর রহমান বলেন, দৌলতপুর অংশে রাস্তা হয়েছে, গাংনী অংশে রাস্তা না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজেই লাগছে না। অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তৈরি করলেও যাতায়াত করা যাচ্ছে না। রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে চলাচলে সুবিধা হবে।

শ্যালো ইঞ্জিনচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, সামান্য রাস্তা না থাকায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে গাংনী কিংবা দৌলতপুর যেতে হয়। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করলেও রাস্তা সামান্য না থাকায় সেতুটি পড়ে রয়েছে । গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফয়সাল হোসেন বলেন, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে গেছে দাবি করে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে তিনি।