বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ। ২৩ নভেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে মামলার কথা নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ শাহজাহান।
মামলায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (আইসি) সোহাগ রানাকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে নামে র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের বিশেষ একটি দল।
এ সময় মাদককারবারি ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডিজিএফআই কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী। গুলিবিদ্ধ হন র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। গুলিতে সাজেদা বেগম (২০) নামে শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরের এক রোহিঙ্গা তরুণীও নিহত হন।