শেষ হলো ৪ দিনব্যাপী ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) নবম হালাল এক্সপো। এ দুটি ইভেন্টে মালয়েশিয়াসহ ৪০টি দেশের প্রায় ৫০০ সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। চার দিনের এই ইভেন্টে দেশি-বিদেশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ ৪০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন। গতকাল রোববার পর্যন্ত ইভেন্ট চলাকালে ১১টি ভিন্ন ভিন্ন সেশনে অর্ধ শতাধিক আন্তর্জাতিক বক্তা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়া প্যাভিলিয়নে কৃষি, ফার্মাসিউটিক্যাল, প্রসাধনী, ব্যাংকিং, পর্যটন, ফ্যাশন, খাদ্য ও পানীয়, শিক্ষাসহ নানা পণ্যের প্রদর্শন করা হয়।
২৪ নভেম্বর তুরস্কের ইস্তাম্বুল কংগ্রেস সেন্টারের ৯তম ওআইসি হালাল এক্সপোর উদ্বোধন করেন ইস্তাম্বুলের মালয়েশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেল এইচই টঙ্কু মোহাম্মদ জারাইফ রাজা আব্দুল কাদির।
টঙ্কু মোহাম্মদ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশন ই-কমার্স খাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। হালাল শিল্প বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলির মধ্যে একটি। কারণ এই খাতের পণ্য এবং পরিষেবাগুলিও বিশ্বব্যাপী অমুসলিম গ্রাহকদের মধ্যে গতি পাচ্ছে।
হালাল এক্সপোর আয়োজকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে হালাল মার্কেটের আকার বাড়ছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তা ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাবার, পর্যটন, বস্ত্র, কসমেটিকস, ওষুধ ও রাসায়নিকের এই হালাল বাজার এরই মধ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন ও ডিসকোভার ইভেন্টসের প্রধান ইউনুস ইতে জানান, কোভিড-১৯ মহামারীতেও হালাল মার্কেট সম্প্রসারণে ভূমিকা পালন করেছে। কারণ হালাল পণ্যের অন্যতম ভিত্তি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। করোনার সময় লোকজন স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। এতে করে হালাল সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। ফলে এই বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।