চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ক তেমন ভালো যাচ্ছে না। দেশ দুইটির মধ্যে বাণিজ্য, তাইওয়ান প্রশ্ন, ইউক্রেন যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পর্ক অনেকটা তলানিতে ঠেকেছে। বিশ্বে কে বেশি প্রভাব রাখবে-এই নিয়ে উভর দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ নেই। উভয় দেশই একে অপরের সামরিক সক্ষমতার ওপর নিবিড়ভাবে কড়া নজর রাখছে।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুতের সংখ্যা তিন গুণের বেশি বাড়বে। এটি প্রায় দেড় হাজারে দাঁড়াতে পারে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে চীনের বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এছাড়া চীনের সামরিক বাহিনীর ওপর প্রস্তুত করা বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশটি তার পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক শক্তি উভয়ের উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে বলেও দেখা গেছে।
পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ধারণা করছে চীনের অপারেশনাল পারমাণবিক ওয়ারহেডের মজুদ ৪০০ ছাড়িয়েছে। চীন যদি পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর এই গতি অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটি সম্ভবত ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৫০০ ওয়ারহেড মজুত করবে।