advertisement
advertisement
advertisement

উন্নয়নে ম্যাজিক : স্বপ্নপূরণে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৮ এএম
advertisement

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে নভেম্বর থেকেই চঞ্চল ও কর্মমুখর হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলো। করোনা মহামারীর কারণে দেশে দীর্ঘদিন বড় কোনো জমায়েত বন্ধ ছিল। এর পর স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো উদ্বোধন করেন। প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর পর তিনি সশরীরে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগপ্রধান হিসেবে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি সর্বশেষ চট্টগ্রামের কোনো জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন ২০২০ সালের ২১ মার্চ। চট্টগ্রাম মহানগরীতে হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ জনসভাটি হয়েছিল পটিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় সরাসরি বক্তব্য রাখবেন। তাই চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারে আজ খুশির ঢেউ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেই জেলায় জেলায় সফরের অংশ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। ২০০৮ সালের পর আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনো নির্বাচনী জনসভায় এখানে আসেননি। সরাসরি নির্বাচনী জনসভা না হলেও আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে করণীয় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকন্যা এই জনসভায় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন বলে ধারণা করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। সবদিক বিবেচনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এবারের আগমন আওয়ামী লীগসহ চট্টগ্রামবাসীর কাছে ভিন্ন রকম গুরুত্ব পেয়েছে। তাই চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ চায় এই জনসভায় স্মরণকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক জনসমাগম ঘটাতে। নভেম্বরের শুরু থেকেই তিন সাংগঠনিক জেলা চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নানাভাবে প্রস্ততি নিয়ে যাচ্ছে। প্রস্তুতি সভা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোও।

২০০৮ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার চট্টগ্রামে যে পরিমাণ উন্নয়ন সাধন করেছে, এর আগে শতকজুড়েও সে পরিমাণ উন্নয়ন চট্টগ্রামে হয়নি। এখনো তার বদান্যতায় চট্টগ্রামে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প চলমান, তা সম্পন্ন হলে আগামী প্রজন্ম দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উন্নত চট্টগ্রাম পাবে। তাই চট্টগ্রামবাসী জাতির পিতার কন্যা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। পাহাড়, নদী, সাগর, সমতলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের সমম্বয়ে গড়া চট্টগ্রামের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা। ২০০৮ সালের আগে ১৯৭৫ সাল-পরবর্তী সরকারগুলো অফুরান সম্ভাবনার চট্টগ্রামকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। অথচ কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়ে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। ঐতিহাসিককাল থেকেই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এ বন্দর দিয়েই হয়েছে। দেশের রাজস্ব আয়ের ৮০ শতাংশই আসে চট্টগ্রাম থেকেই। চট্টগ্রামের রয়েছে পতেঙ্গা, পারকীরচর ও বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার এবং রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির ঘন অরণ্য সুশোভিত পার্বত্য এলাকার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। চট্টগ্রামের সৌন্দর্য, ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা ও বাণিজ্যিক সুবিধার কারণে এ দেশে ছুটে এসেছিল আরাকান, অ্যারাবিয়ান, ফারসি, পর্তুগিজ, মোগল ও ইংরেজরা। তাদের ঐতিহাসিক নানা স্মৃতিচিহ্ন এখনো চট্টগ্রামে বিদ্যমান। চট্টগ্রামের মানুষের কঠোর পরিশ্রম, কারিগরি জ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যে পারদর্শিতা ও নানা কাজে সাহসিকতা পূর্বপুরুষ থেকেই পাওয়া। তাই চট্টগ্রামের মানুষ সব সময়ই দেশের দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে সর্বক্ষেত্রে অবদান রেখে আসছে পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই। অন্যায়-অত্যাচারে বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা, জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার ইতিহাস চট্টগ্রামকে পুরো উপমহাদেশের কাছে বীর চট্টলা হিসেবে পরিচিত করে তুলেছিল ইংরেজ আমলেই। ১৯৩০ সালে মাস্টার দা সূর্য সেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্তদের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করার ঘটনা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে অনন্য সাধারণ ঘটনা হিসেবে প্রতিভাত হয়। এ ঘটনার অনুপ্রেরণা থেকেই দেড় দশকের সংগ্রামী পথচলায় ১৯৪৭ সালে এ উপমহাদেশ থেকে দীর্ঘ ২০০ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়েছিল। চট্টগ্রামের অপার সম্ভাবনা ও চট্টগ্রামের মানুষের অসম দৃঢ়তাকে চিনেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সকালেই চট্টগ্রামকে দেখেছিলেন, ১৯৪৫ সালে ইংরেজ শাসকদের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছিলেন এ চট্টগ্রামের সঙ্গীদের নিয়ে এ চট্টগ্রাম থেকেই। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টলার অবিসংবাদিত নেতা জহুর আহমদ চৌধুরী, এমএ আজিজ প্রমুখ। ইংরেজদের হটিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টির সময়কাল থেকেই বঙ্গবন্ধু পৃথক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এগোচ্ছিলেন। তার এই পথ চলায় তিনি চট্টগ্রামের ওপর ছিলেন দৃঢ় আস্থাশীল। তাই ১৯৬৬ সালে তিনি স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে লেলিহান শিখার মতো জনমানসে ছড়িয়ে দিতে প্রণয়ন করেছিলেন ঐতিহাসিক ৬ দফা। বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিগণিত ৬ দফার প্রকাশ্য ঘোষণা তিনি চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠেই দিয়েছিলেন। অর্থাৎ মুক্তি আন্দোলনের অনির্বাণ শিখা তিনি চট্টগ্রামেই জ্বালিয়েছিলেন এবং তার আগুন পুরো বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের রক্তে লেগেছিল। ১৯৭১ সালে এসেছিল স্বাধীনতা।

advertisement

বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামকে ভালোবাসতেন এবং চট্টগ্রামের প্রতি ছিল আস্থা ও বিশ্বাস। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনার চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য বাংলা মায়ের। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্রে সপরিবারে শহীদ হন জাতির পিতা। এর পর ক্ষমতায় আসা অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, স্বৈরাচারী সরকারগুলো চট্টগ্রামকে নিয়ে আর ভাবেনি। নিজেদের স্বার্থে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে স্বৈরাচার ও তাদের দোসর সরকার ধীরে ধীরে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেট অফিসগুলো ঢাকায় সরিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাতে থাকে এবং উন্নয়নবঞ্চিত থেকে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্র পরিচালনায় এলে চট্টগ্রামের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নবাদীদের দীর্ঘদিনের সহিংসতা বন্ধ করতে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সারাদেশ ও চট্টগ্রামের উন্নয়নকে স্থবির করে দেয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে সর্বশেষ নির্বাচনী জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে। সেদিন দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধেই নেবেন। শেখ হাসিনা জয়ী হওয়ার পর চট্টগ্রামে শুরু হয় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ, সৃষ্টি হয় উন্নয়নের অনবদ্য ইতিহাস। এত উন্নয়ন এখানে হয়েছে এবং হচ্ছে, তার সবই এখন দৃশ্যমান। এখানে না হয় তার সবটি না-ই বা উল্লেখ করলাম। তবে কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করতেই হয়। শেখ হাসিনার হাত ধরে চট্টগ্রাম বন্দর পেয়েছে নতুন রূপ, সংযুক্ত হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, চালু হয়েছে সিটিএমএস, সংযোজিত হয়েছে নতুন নতুন ইয়ার্ড ও সার্ভিস জেটি, বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ, বেড়েছে রাজস্ব অর্জনের পরিমাণ। পতেঙ্গায় ৪টি জেটি নিয়ে চালু হতে যাচ্ছে পিসিটি। পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলি অংশের সমুদ্রপাড়ে তৈরি হচ্ছে জোয়ার-ভাটার যে কোনো সময়েই মাদার ভেড়ানোর সক্ষমতাসম্পন্ন বে-টার্মিনাল। মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজও চলমান। বাঁশখালীর গণ্ডামারা ও মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মিত হচ্ছে বৃহৎ আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দুই টিউবের দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সুরঙ্গ সড়ক বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউব গত ২৬ নভেম্বর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে, নতুন বছরের শুরুতে দুটি টিউব দিয়েই গাড়ি চলাচল শুরু হবে। পতেঙ্গাসৈকতকে আধুনিক পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলা হয়েছে। পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সমুদ্রতীর ধরে নির্মিত হয়েছে মেরিন ড্রাইভ সিটি আউটার রিং রোড। পণ্য পরিবহনে তা চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগকে সহজতর করার পাশাপাশি শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে শহরকে রক্ষা করছে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও নোনা পানির কুপ্রভাব থেকে। আনোয়ারায় হচ্ছে চায়না ইকোনোমিক জোন, মিরসরায় ও ফেনী অংশ নিয়ে হচ্ছে বিশাল এক অর্থনৈতিক অঞ্চল। চান্দগাঁওয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আইটি পার্ক। দোহাজারী থেকে রামু, কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ চলেছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা হয়েছে অভাবনীয় মাত্রায়। অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ, বায়েজীদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত দুটি বাইপাস রোড নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলীর তীর ধরে চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত রিভার ড্রাইভ রিং রোড শহরকে বাড়তি যানজটের চাপ থেকে মুক্তি দেবে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল খনন, সংস্কার ও উদ্ধারে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে মেগাপ্রকল্প। নগরীতে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি ফ্লাইওভার হয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ দিকে রয়েছে। সাংস্কৃতিক উন্নয়নে শহীদ মিনার কমপ্লেক্স কাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ ইতোমধ্যেই সুসম্পন্ন হয়েছে।

এসব কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন চট্টগ্রামের প্রতি তার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা। বিগত দিনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নি?য়ে ক্ষমতায় গিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে চট্টগ্রামবাসীকে। তাই চট্টগ্রামবাসী এবারও প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছে বলে আমার বিশ্বাস। আজ ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডের জনসমাগম প্রমাণ করবে চট্টগ্রামবাসী জাতির পিতার কন্যাকে ভালোবাসে এবং তার সঙ্গে আছে, তাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। চট্টগ্রামের এই জনসভা থেকে চট্টগ্রামবাসী গুজব এবং নীলনকশার জনক বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়Ñ আমরা স্বাধীনতার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে।

advertisement

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এবং মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন