তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মৃতকর্মী, বিদেশে থাকা এবং অবসরে যাওয়া ৩৭ কর্মীর নামে অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। তবে ওই অভিযোগ সত্য হলেও তা পুরনো বলে দাবি করেছেন তিতাসের মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব লুৎফুল হায়দায় মাসুম।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, মৃত ব্যক্তি, বিদেশে থাকা এবং অবসরে যাওয়া তিতাসের সাবেক কর্মীদের নামে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করেছেনÑ এমন ৩৭ জনের বিষয়ে অভিযোগ আসে। এরা ৯০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে ওইসব কর্মীদের নামে তিতাস গ্যাস
কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগসংশ্লিষ্ট তিতাসের সেইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্ধানে গত মঙ্গলবার অভিযানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদকের অভিযান দল।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, তিতাস গ্যাস কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে সাবেক নিরাপত্তা প্রহরী, যারা মৃত এবং অবসরে গিয়েছেনÑ তাদের নামে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিব এবং মহাব্যবস্থাপকের (প্রশাসন) সঙ্গে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ, বেতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এ বিষয়ে অভিযান দল কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল করবে, সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব লুৎফুল হায়দায় মাসুম গতকাল শনিবার আমাদের সময়কে বলেন, ‘যে অভিযোগ পেয়ে দুদকের টিম এসেছিল, সেই অভিযোগ পুরনো। এ বিষয়ে বছর দেড়েক আগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠান প্যান্থার সিকিউরিটির মাধ্যমে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এসব বিষয় দুদক কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।’