শৈশবের কিছু অভিজ্ঞতা মানুষের জিনে বেশ প্রভাব ফেলে। এই প্রভাবের ব্যাপ্তিও অনেক। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তির শেষজীবনের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে, তা শৈশবের কিছু অভিজ্ঞতাই নির্ধারণ করে দেয়। এমনকি জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন এনেও এই প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, মানুষের জীবনে ‘জিন এক্সপ্রেশন’-এর প্রভাব আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।
‘জিন এক্সপ্রেশন’ বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যার মাধ্যমে একটি জিন কোষে রূপান্তরিত হয়ে আরএনএ ও প্রোটিন তৈরি করে। আরএনএ কিংবা আরএনএ থেকে তৈরি প্রোটিনের মাধ্যমে ‘জিন এক্সপ্রেশন’ পরিমাপ করা যায়।
নতুন এ গবেষণা করা হয়েছে আগের একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে। আগের ওই গবেষণায় দেখা যায়, যেসব মৌমাছি জন্মের পর বেশি চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে, তাদের আয়ু কম হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর খাবার তালিকায় পরিবর্তন এনেও আয়ু বাড়ানো সম্ভব হয় না। এর কারণ আগের গবেষণায় জানা যায়নি। কিন্তু এবার সেই রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন ইউসিএলের বিজ্ঞানীরা।
গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন ড. নাজিফ আলিস। তিনি বলেন, “বার্ধক্যে স্বাস্থ্য কেমন থাকবে, সেটা ব্যক্তির শৈশবের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। শৈশবের কিছু বিষয় এক ধরনের ‘স্মৃতি’ (মেমোরি) তৈরি করে। এই স্মৃতি গর্ভে থাকার সময়ও তৈরি হতে পারে।’
উদাহরণ হিসেবে আলিস বলেন, ‘শৈশবে অনেকেই অপুষ্টিকর খাবার খান। এর প্রভাব তাৎক্ষণিক যেমন পড়তে পারে, তেমনি জিন এক্সপ্রেশনের কারণে জীবনের শেষদিকেও পড়তে পারে। শৈশবের পর থেকে খাবার তালিকায় পরিবর্তন এনেও এই পরিণতি এড়ানো যায় না।’