করাতকল স্থাপনে লাইসেন্স নিতে হয় বন বিভাগ থেকে। লাগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। মানতে হয় আরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিমালা। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসবের কোনো তোয়াক্কা নেই। নিয়মনীতি না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ করাতকল। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশের এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা এসব করাতকলে হরহামেশা চেরাই করা হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের।
নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ৮৭টি করাতকল। এর মধ্যে লাইসেন্সধারী ২৮টি এবং লাইসেন্সবিহীন ৫৯টি। জানা গেছে, করাতকল স্থাপনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্তির পর নিতে হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে উপজেলার চান্দাইকোনা অনার্স কলেজের সামনে ডানে-বাঁয়ে ও ষোলমাইল, ভূইয়াগাঁতী, সাহেবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ রোড, সলঙ্গা, ধানগড়া, রায়গঞ্জ বাজার, ধামাইনগর, নলকা, পাঙ্গাশী, ব্রহ্মগাছা, ঘুড়কাসহ উপজেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। এসব করাতকল ৫ থেকে ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো কোনো করাতকলের বন বিভাগের ছাড়পত্র ও বৈধ লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স মিল ব্যবসায়ী জানান, লাইসেন্সের জন্য টাকা পয়সা ও কাগজপত্র অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপণ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মালিক সমিতির সভাপতি ওমর আলী জানান, অবৈধ লাইসেন্সবিহীন করাতকলের জন্য বৈধ করাতকলের কাজের বিঘ্ন্ন ঘটে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
রায়গঞ্জ সামাজিক বনায়ন নার্সারির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামান জানান, আমরা ওইসব লাইসেন্সবিহীন করাতকলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেও তেমন ফল পাচ্ছি না, লাইসেন্সবিহীন মালিকরা প্রভাবশালী বলে।