শিক্ষক ও একাডেমিক ভবন সংকটে পাঠদান ব্যাহত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা দিতে হলে মানসম্মত শিক্ষক ও সুন্দর পরিবেশের প্রয়োজন। কিন্তু প্রায়ই গণমাধ্যমে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে রকম পরিবেশ নেই। শ্রেণিকক্ষের ভবনে ফাটল, সেখানে ক্লাস চলছে। আবার উন্নয়নের নামে দীর্ঘদিন ধরে মেরামত কাজের জন্য গাছতলায় পাঠদান চলছে। গতকাল আমাদের সময়ের সারাদেশ পাতায় দুটি জেলার খবর প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক শ্রেণিকক্ষ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। আটটি শ্রেণির ৩টি বিভাগের প্রায় সতেরোশ শিক্ষার্থীর জন্য ২৬টি কক্ষের প্রয়োজন হলেও সেখানে কক্ষ রয়েছে ১২টি। প্রায় শতবর্ষী এই বিদ্যালয়টিতে ৪৯টি পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩০ জন। একটি অতি পুরনো ভবন ভেঙে ফেলায় সেখানে কক্ষ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নাটোরের বাগাতিপাড়া নুরপুর মালঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয় শেণিকক্ষ সংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচে মাঠের মধ্যে ও বারান্দায় ক্লাস চলছে। শুধু এই দুটি বিদ্যালয়ের চিত্রই নয়। সারাদেশে এ রকম অসংখ্য বিদ্যালয়ে নানারকমের সমস্যা রয়েছে। আমরা এর আগেও দেখেছি, শিক্ষক সংকটের কারণে ক্লাস নিচ্ছেন নাইটগার্ড, দপ্তরি, আয়া। এদের দ্বারা কি শিক্ষিত জাতি গঠন করা সম্ভব? একটি জাতি গঠন করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিটা গুরুত্বসহকারে গড়ে তুলতে হবে। সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক থাকা একান্ত জরুরি। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষকের উপস্থিতিসহ পাঠদান নিশ্চিত করা জরুরি। দেশব্যাপী শিক্ষক সংকট নিরসনে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই বলব, অতিজরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে এ রকম সংকটগুলো দূর করে শিক্ষিত জাতি গঠনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আগামীতে আমরা সুন্দর একটা জাতি পাব।