ইতালির সিরিআ লিগ ম্যাচে জায়ান্ট টিম এসি মিলানকে বিধ্বস্ত করেছে লাজিও। মঙ্গলবার ম্যাচে লাজিও একচেটিয়া খেলে ৪-০ গোলে জয় পায় মিলানের বিপক্ষে। এই বড় পরাজয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বড় ধরনের ধাক্কা খেল মিলান।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে সম্ভবত মৌসুমের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছে মঙ্গলবার মিলান। সার্গে মিলিনকোভিচ-সাভিচ তিন মিনিটের মধ্যে প্রথম সুযোগেই ল্যাজিওকে এগিয়ে দেন। ৩৮ মিনিটে মাত্তিয়া জাক্কাগনি স্বাগতিকদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। লুইস আলবার্তো পেনাল্টি থেকে ম্যাচের মাঝামাঝিতে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৭৫ মিনিটে মিলান শিবিরে শেষ আঘাত জানেন ফিলিপ অ্যান্ডারসন। মৌসুমের মাঝামাঝিতে এসে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা নাপোলির তুলনায় ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে মিলান। লিগে টানা তিন ম্যাচে মিলানের জয়বিহীন থাকার সুযোগ নাপোলি তাদের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে চারটি দল দ্বিতীয় স্থানের জন্য মিলানের ঘাড়ের ওপর নিঃশ^াস ফেলছে। তাদের থেকে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা তিনটি দলের মধ্যে ল্যাজিও একটি। ইন-ফর্ম আটালান্টা দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, তারাও ভালোভাবেই শীর্ষ চারে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রান্সফার বিষয়ে অস্বচ্ছতার জেরে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে জুভেন্টাসের। এ ঘটনায় অন্তত স্বস্তি মিলতে পারে মিলানের। না হলে তুরিনের জায়ান্টদের থেকে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। মরিজিও সারির দল তাদের তারকা স্ট্রাইকার সিরো ইমোবিলেকে দলে পায়নি। বিন্তু মিলানের রক্ষণভাগকে বারবার ভাঙতে তাদের কোনো সমস্যাই হয়নি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচ ম্যাচে মিলান ১২ গোল হজম করেছে। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজকে হারায় মিলান। ২৪ মিনিটে ইনজুরিতে পড়েন সেন্টার-ব্যাক ফিকায়ো টোমোরি। স্টপেজ টাইমে ফুল-ব্যাক ডেভিড কালাব্রিয়াও ইনজুরিতে পড়েছেন। ইনজুরির এ ঘটনাগুলো মিলানের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে। মিলান ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে ১৫ দিনেরও কম সময় বাকি রয়েছে। গত সপ্তাহে সুপার কাপে ইন্টার মিলানের কাছে শিক্ষা পেয়েছে এসি মিলান।