advertisement
advertisement
advertisement

চীনকে ঘিরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি

অনলাইন ডেস্ক
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৪ পিএম | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৭ এএম
ছবি সংগৃহীত
advertisement

নতুন একটি সামরিক চুক্তিতে সই করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন। এর মাধ্যমে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্বাধীনতা রক্ষা করবে বলে দেশ দুইটি আশা করছে। খবর বিবিসির।

তবে এই চুক্তির মূল বিষয় হলো, ফিলিপাইনের চারটি সামরিক ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা তৎপরতার ওপর নজরদারি করতে সক্ষম হবে। উত্তরে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান থেকে দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোট যে চীন-বিরোধী বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাতে একমাত্র ফাঁক ছিল ফিলিপাইন।

advertisement

চীন ও মার্কিন বাহিনীর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের দুটি সম্ভাব্য ফ্ল্যাশপয়েন্ট- তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর - সীমান্তে রয়েছে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ। এখন এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিপাইনের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মার্কিন সৈন্যদের আরও বেশি করে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে।

গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো বিপুল সংখ্যক আমেরিকান সৈন্য তাদের ফ্ল্যাশ-পয়েন্ট উপনিবেশ ফিলিপাইনে ফিরে আসবে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যে চুক্তিটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

advertisement

ওয়াশিংটনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কর্মসূচির পরিচালক গ্রেগরি বি পোলিং বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যার জন্য ফিলিপাইনে প্রবেশের প্রয়োজন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র কোন স্থায়ী ঘাঁটি খুঁজছে না। পুরো বিষয়টা কোন একটি স্থান সম্পর্কে, ঘাঁটি নয়।

এনহ্যান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট বা ইডিসিএ চুক্তির আওতায় ফিলিপিনের পাঁচটি ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত সংখ্যক প্রবেশাধিকার রয়েছে। এ ছাড়া ওয়াশিংটন সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, এখন এসব নতুন ঘাঁটির সংযোজনের এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিপিনে মানবিক এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়ের জন্য আরও দ্রুত সহায়তার অনুমতি দেবে, এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জের প্রতি সাড়া দেয়ার অনুমতি দেবে। এর গোপন মানে হলো এই অঞ্চলে চীনকে মোকাবেলা করা।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আজ বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠক করার পর এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘাঁটি কোথায় হবে তা জানা যায়নি, তবে এর মধ্যে তিনটি ফিলিপিনের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ লুজনে হতে পারে। তাইওয়ানের নিকটবর্তী এটিই একমাত্র বড় ভূখণ্ড, যদি আপনি চীনকে হিসেবের মধ্যে না আনেন।

যুক্তরাষ্ট্র আজকাল এমন সব জায়গায় ঘাঁটি করতে চাইছে যেখান থেকে প্রয়োজন মতো সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা ও নজরদারি চালানোর মতো "হালকা এবং নরম" ধরনের অভিযান চালানো সম্ভব হবে, কিন্তু যেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। সম্ভাব্য চীনা হুমকি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তিবৃদ্ধি করছে।