advertisement
advertisement
advertisement

রপ্তানির আড়ালে পাচার ৩৮২ কোটি টাকা
দেশের অর্থ বাইরে যাওয়া বন্ধে কঠোর হোন

১৬ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৩০ পিএম
advertisement

অনুমতিপত্র জালিয়াতি করে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে ৩৮২ কোটি টাকা পাচার করেছে চারটি প্রতিষ্ঠান। রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা আর দেশে ফেরায়নি এসব প্রতিষ্ঠান। গত মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বিনিয়োগ খরায় ভুগছে যে দেশ, সেখান থেকে এত পরিমাণ অর্থপাচারের বিষয়টি সত্যিই বিস্ময়কর। বোঝা যায় দেশে যে কোনো পর্যায়ে বিনিয়োগ নিয়ে অর্থের মালিকদের আস্থাহীনতা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে! এর সঙ্গে আর্থিক নীতি ও এর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার যেমন সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

advertisement

দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থপাচার বেড়ে যায়। তা হলে কি বাংলাদেশের ধনিক শ্রেণি এ দেশে তাদের অর্থ বিনিয়োগ নিরাপদ ভাবছে না? তারাই যদি এটা ভাবে, তা হলে বিদেশিরা কী ভাবতে পারে? দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হলো কেন? কোনো দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে না। প্রতিবছর অর্থপাচারে রেকর্ড হচ্ছে, প্রতিবছরই সরকার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা দিতে পারতেন, আর্থিক খাতে আইনের শাসন কায়েম করতেন, তা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না।

দেশের যা কিছু উন্নয়ন, তা ধরে রাখতে হলে মুদ্রা পাচার কমিয়ে আনতেই হবে। তার জন্য সরাসরি অর্থ প্রেরণ সহজীকরণ, বিনিয়োগের আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে কঠোরতা জরুরি। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

advertisement

টাকা পাচার একটি বৈশ্বিক প্রবণতা হলেও দরিদ্র ও ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশের পক্ষে এর দায় বহন করা দুরূহ। তাই অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের পথ রুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদেশে টাকা ও অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই।