advertisement
advertisement
advertisement

নাইজেরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
১৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫১ পিএম | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫১ পিএম
নাইজেরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
advertisement

নাইজেরিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপন করা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ আবুজাস্থ এনজিও ‘হেডাস ডিপ্লোমেটিক ক্যারিয়ার মেনটিস‘ এর প্রতিনিধিরা ও আদুভি ইন্ট্যারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক এবং নাইজেরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শুক্রবার দিবসের প্রথম পর্বে উপস্থিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান। এরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদৎ বরণকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের শাহাদৎবরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অগ্রগতি, শিশুদের নিরাপদ জীবন কামনা ও নাইজেরিয়াস্থ সকল প্রবাসীদের সফল ও সুসমৃদ্ধ জীবন কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

advertisement

মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী,পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয় । এরপর উপস্থিত নাইজেরিয়ার গণ্যমান্য নাগরিক ও বিদেশি অতিথি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হেডাস ডিপ্লোমেটিক ক্যারিয়ার মেনটিসের প্রধান মিজ হোপ আয়াবিনা।

হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার চুড়ান্ত প্রেরণা এবং বঙ্গবন্ধু কেবল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি ছিলেন বাঙালির মু্িক্তর দূত এবং রাজনীতির এক মহাকবি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণপূর্বক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে মানবিক মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় ব্রত হওয়ার আহ্বান জানান। পরে, হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, সংগ্রাম, আদর্শ ও কূটনীতি বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আলোচনা শেষে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

advertisement

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আবুজাস্থ আদুভি ইন্ট্যারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং হাইকমিশন পরিবারের ও বাংলাদেশ কমিউনিটির শিশুদের অংশগ্রহণে Peace, Stability and Development বিষয়ক বয়সভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বমোট ২৫ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে সনদ বিতরণ করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনার পত্নী। অনুষ্ঠানের শেষে হাইকমিশনার অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন।