advertisement
advertisement
advertisement

র‌্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞায় মনোকষ্ট হওয়া উচিত নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১১:১৪ পিএম
advertisement

র‌্যাব সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ ব্যাপারে আমি বলবÑ কারও মনোকষ্ট হওয়া উচিত নয়। আমরা জানি, কিছু দিন আগে একটি দেশ র‌্যাবের ওপর স্যাংশন দিয়েছিল বলে অনেকেই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এখানে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমার দেশে যারা কাজ করেন, তারা কে কী করে না করেন, সেটা আমরা জানি।

গতকাল রবিবার সকালে র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক থাকবেই সবসময় বিরোধিতা করতে। আর মাঝে মাঝে কিছু উল্টা-পাল্টা কথাও বলবে। এগুলো কানে না নিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে দেশের কল্যাণে এগিয়ে যেতে হবে।’

রমজান ঘিরে কেউ যেন খাদ্য মজুদ ও খাদ্যে ভেজাল দিতে না পারে, সে ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মাদকের অপব্যবহার, কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ও সাইবার অপরাধ নির্মূলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সজাগ থাকতে বলেছেন তিনি।

advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করব। এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা দরকার। দেশের উন্নয়ন দরকার এবং সেক্ষেত্রে শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।’

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সুন্দরবনে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও জলদস্যুতা মোকাবিলায় র‌্যাবের প্রশংসা

করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় থাকাকালে অগ্নি সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপতৎপরতা মোকাবিলা করে আমার সরকার দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কাজেই সে কথা মাথায় রেখে সবাইকে চলতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় নাগরিকের কাছে আজকে এলিট ফোর্স র‌্যাব নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ আমার অহঙ্কার’Ñ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বশীল, কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে যাই, অবশ্যই বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদককারবারিদের কাছে র‌্যাব একটা আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। র‌্যাব ইতোমধ্যে জননিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। র‌্যাবের কার্যক্রমের ফলেই ধর্ষণ, খুন, অপহরণের আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারের বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। মানবিকবোধের জায়গা থেকে র‌্যাব দুস্থ, কাঙাল, প্রতিবন্ধীদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করছে গণমুখী এ বাহিনী।

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে, তখনই অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে র‌্যাব। স্বার্থান্বেষী মহলের জঙ্গিবাদের বীজ বপনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত করার অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চরমপন্থিদেরও রুখে দিয়েছে র‌্যাব। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে রোলমডেল। মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে র‌্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।