পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং দলীয় অনেক নেতা ও আইনপ্রণেতার ওপর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আজ শুক্রবার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেন, বিদেশ ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মে দেশটিতে চলা সহিংসতার জেরে অনেকেই দেশ ত্যাগ করতে পারেন—এমন আশঙ্কা থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া টুইট বার্তায় পিটিআই প্রধান বলেন, ‘ইসিএলে আমার নাম রাখার জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ আমার বিদেশ ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
গত বছর এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, বিদেশে তার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসা নেই। এমনকি দেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই। তবে ছুটি কাটানোর সুযোগ পেলে তিনি পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পর্বতমালাকে বেছে নেবেন।
ইমরান খান বলেন, ‘আমি যদি ছুটি কাটানোর সুযোগ পাই, সেটা হবে আমাদের উত্তরাঞ্চলীয় পর্বতমালায়, পৃথিবীতে আমার প্রিয় জায়গা।’
আরও পড়ুন: ইমরান ও তার স্ত্রীসহ ৮০ পিটিআই নেতার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তান ত্যাগের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নামও রয়েছে। সেই তালিকায় আরও রয়েছেন পিটিআই রাজনীতিবিদ মুরাদ সাঈদ, মালেকা বোখারি, ফাওয়াদ চৌধুরী, হাম্মাদ আজহার, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, ইয়াসমিন রশিদ, মিয়া আসলাম ইকবাল প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন দিন পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতা পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়। তাদের দেশ ত্যাগে বাধা দিতে পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে নাম পাঠানো হয়েছে।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিটিআই নেতাকর্মীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান পরিচালান করা হয়। গত ৯ মে থেকে চলা সেই অভিযানে হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।