advertisement
advertisement
advertisement.

রেমিট্যান্সের জাদু সম্ভবত শেষ হতে চলেছে

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য খাদ্যমূল্যের দামও বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
৯ আগস্ট ২০২১ ১২:০০ এএম | আপডেট: ৮ আগস্ট ২০২১ ১১:৪৪ পিএম
advertisement..

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে ২৮ শতাংশ। এতদিন রেমিট্যান্সের যে জাদু ছিল সেটা সম্ভবত শেষ হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

advertisement

গতকাল নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ বাস্তবায়ন : পিছিয়ে পড়া মানুষেরা কীভাবে সুফল পাবে?’ শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে শুধু আয়, কর্মসংস্থান ও মজুরি কমছে না, খাদ্যমূল্যের দামও বাড়ছে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বিশেষ করে মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের প্রভাব নিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছর শুরু করেছি। অনেকটা দুর্বল অর্থনীতির মধ্যে চলতি বছর শুরু করেছি। আর এর সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর। নতুন খবর হচ্ছে জুলাইয়ের হিসাবে রপ্তানি কমেছে ১১.২ শতাংশ। অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা ছিল বৈদেশিক খাত। জুলাই মাসের তথ্য বলছে বৈদেশিক খাতেও এক ধরনের ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রেমিট্যান্সের জাদু শেষ হতে চলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ বিদেশে গেছে কম, এসেছে বেশি। সরকারি প্রণোদনার কারণে হুন্ডি থেকে মানুষ ব্যাংকিং খাতে টাকা পাঠিয়েছে। এ অবস্থায় জাদু শেষ হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাই বোঝার বিষয় রয়ে গেছে। রপ্তানি আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। কর আদায়সহ সব সূচক যদি বিবেচনায় নেন তা হলে দেখবেন প্রাথমিক সংকেত কিন্তু ভালো নয়।

পিছিয়ে পড়া মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রত্যক্ষ সহায়তা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অতিমারির মধ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষদের কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। সেজন্য পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে সরাসরি অর্থ সাহায্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা অতিমারির শুরুর পর থেকে পিছিয়ে পড়া ৮০ শতাংশ মানুষ খাদ্য ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

আলোচনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এবারে বাজেটে পিছিয়ে পড়া গরিব ও অসহায় মানুষদের বাইরে রাখা হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দের কথা বলা হলেও কীভাবে তা ব্যয় হবে, সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কতটুকু থাকবে সে বিষয়টি দেখা যায়নি। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে বাজেটে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। আমি মনে করি এ বছর বিব্রতকর, দুর্নীতিবান্ধব, বৈষম্যমূলক ও কালো টাকা সহায়ক বাজেট হয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে পড়া মানুষকে কীভাবে সহায়তা করবে বাজেটে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই না।

অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা। #