সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এইগুলা নিয়ে আপনারা এত চিন্তায় কেন? শত শত সম্মেলন হয় দুনিয়াজুড়ে। নতুন বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন... বেচারা খুব কষ্ট করে হোয়াইট হাউসে এসেছেন। যা ঝামেলা
হয়েছিল, আপনারা জানেন না? এ রকম একটা পরিপক্ব গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা, সেখানেই ঝামেলা হয়েছে। আমরা সেদিক থেকে ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না, আপনার দেশের লোকই শেখাবে।’
গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, অন্যের কাছ থেকে আমাদের গণতন্ত্র শিখতে হবে না। তবে আমাদের সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। নির্বাচনে যেন আর একটা মানুষও মারা না যায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্থিতিশীল আছে। সব দেশেই কিছু ব্যত্যয় আছে, উইকনেস আছে। এ দুর্বলতাকে সামনে নিয়ে আমরা দিনে দিনে যাতে আরও ভালো করতে পারি, আমরাই ঠিক করব। অন্যের ফরমায়েশে আপনার ভালো হয় না। এগুলো শুধু মুখে বললেই হবে না। এজন্য মনমানসিকতা দরকার, আমাদের দেশে সহনশীলতা আরও বাড়াতে হবে।
ড. মোমেন বলেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন যে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। আমরা সবাই এ দেশেরই লোক। আমাদের সহিষ্ণুতা বাড়াতে হবে। সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ উপদেশই সংসদে দিয়েছেন যে, সহিষ্ণুতা বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের গণতন্ত্র ঠিক করব। কে দাওয়াত দিল না দিল এইগুলা সেকেন্ড বিষয়। এইগুলা নিয়ে আপনার এত দুশ্চিন্তা কিসের! বরং এর থেকে বড় চিন্তা করা উচিত যে, আগামীতে আমাদের দেশে যখন নির্বাচন হয়, যাতে একটি লোকও মারা না যায়। সেটার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাব।’
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ, সিসিক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। #সিলেট ব্যুরো