পর্তুগালে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন। গতকাল সোমবার কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে পর্তুগিজ সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এদিন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শুনান। পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক মুক্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাইলফলক। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ যে বিজয় অর্জন করেছিল তা এই দিন পূর্ণতা পেয়েছিল।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের মিনওয়ালী কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শত অত্যাচার নির্যাতনের মুখেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপোষ করেননি। এ সময় স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, সমতাভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে উপস্থিত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া করা হয়।