ভারতের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মহাসংকটে পড়েছেন। জোট সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী একনাথ সিন্ধে বিদ্রোহের জেরে রাজ্য সরকার পতনের মুখে রয়েছে। যদিও গতকাল বুধবার উদ্ধব নিজেই বলেছেন, তিনি পদত্যাগপত্র তৈরি করেই রেখেছেন। বিধায়করা চাইলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। খবর এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী একনাথ সিন্ধে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল শিব সেনার ৪০ থেকে ৫৬ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন। এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে একনাথকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে গতকাল পর্যন্ত বিদ্রোহী একনাথ নিজের সিদ্ধান্ত বদলের তেমন কোনো ইঙ্গিত দেননি।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের মিত্রতার পর ২০১৯ সালের রাজ্য নির্বাচনের আগে শিব সেনা ও বিজেপির জোট ভেঙে যায়। ক্ষমতা ভাগাভাগী নিয়ে টানাপোড়েনে ভাঙে জোট। তবে নির্বাচনে রাজ্যের বিধানসভার ২৮৮ আসনের মধ্যে ১০৬ আসনে জয়লাভ করে একক বৃহত্তম দলে পরিণত হয় বিজেপি। তবে আঞ্চলিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), ভারতের মূল বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আরও কয়েকটি ছোট দল ও স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করে শিব সেনা। গুঞ্জন চলছে, একনাথ সিন্ধে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে ফের শিব সেনার জোট গড়তে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে ফিরতে চান তিনি।
এই সপ্তাহে বিবাদ গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একনাথ সিন্ধে এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নিজেদের অনুগত আইনপ্রণেতাদের হোটেলে আটকে রাখেন। অপর পক্ষের তাদের দলে টানা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে জোরালো রাজনৈতিক নাটকীয়তা প্রত্যক্ষ করছে রাজ্যটি।
খবরে বলা হয়, বেশ কয়েকজন সমর্থকদের নিয়ে একনাথ সিন্ধে উঠেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামের একটি হোটেলে। গত মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের স্বাগত জানান বিজেপির দুই নেতা। আরেকটি খবরে বলা হয়, একনাথ সিন্ধে শিব সেনার আরও ১১ আইনপ্রণেতাকে নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সুরাটে রওনা দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তাকে দলের হুইপের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেশ চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।