চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুলাল হোসেন (৩৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। তিনি পাকা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দশরশিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। গতকাল ভোর ৩টার দিকে দুই সীমান্তের ভারতীয় অংশে দুলাল নিহত হন। বিষয়টি স্থানীয় পাকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক ও দুলালের পরিবার নিশ্চিত করলেও বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসী, দুলালের স্ত্রী-স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে আরও জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহত দুলালের
মরদেহ সীমান্ত লাইন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভারতের অভ্যান্তরে পশ্চিমবঙ্গের সূতি থানার চাঁদনীচক এলাকার মাঠের ভেতর পড়ে ছিল।
পাকা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, ‘দুলালসহ আরও কয়েকজন মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি তারা। গভীর রাতে সীমান্তে গুলির শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসী। গতকাল সকালে তারা খবর পান বিএসএফের চাঁদনীচক ফাঁড়ির জোয়ানদের গুলিতে দুলাল হোসেন মারা গেছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন পালিয়ে আসেন। তিনি আরও জানান, ‘দুলালের স্বজনরা বিজিবির ওয়াহেদপুর কোম্পানি ফাঁড়িতে গিয়ে দুলালের মরদেহ ফিরিয়ে আনার অনুরোধও জানিয়েছে।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত উপঅধিনায়ক মেজর শাহেদ জানান, ‘ওয়াহেদপুর সীমান্তে কোনো বাংলাদেশির হতাহতের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে গ্রামবাসী ও নিহত দুলালের পরিবার সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু তিনি সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নই আমরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’