রাজধানীর পল্লবীতে ১৪ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জনৈক মহসিন কাজী তার স্ত্রী মর্জিনার সহযোগিতায় চার দিন আটকে রেখে ওই কিশোরীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির মদদে আরও ২ ব্যক্তি ওই গৃহকর্মীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর-১১ নম্বরের বাউনিয়া বাঁধের ডি ব্লকের ৩ নম্বর লাইনের ৩ নম্বর আব্বাস মিয়ার বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা গত ১৯ জুন চারজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। আসামিরা হলো মহসিন কাজী, তার স্ত্রী মর্জিনা, মাসুদ রানা ও অচেনা এক ব্যক্তি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ৮ বছর ধরে ভাসানটেকের এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। গত ১৫ জুন রাত ৮টায় সে ওই বাসা থেকে পালিয়ে ভাসানটেকের দেওয়ানপাড়ার একটি ব্রিজের কাছাকাছি নির্জন স্থানে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় মহসিন ও মর্জিনা ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। কিশোরী তাদের ভালো মানুষ মনে করে ওই রাতটি থাকার জন্য তাদের কাছে আশ্রয় চায়। পরে ওই কিশোরীকে
চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে মহসীন। এমনকি মহসিন ও মর্জিনার সহযোগিতায় মাসুদ রানাসহ অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তিও ওই কিশোরীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে চার দিন পর সেখান থেকে ওই কিশোরী পালিয়ে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) উদয় কুমার ম-ল জানান, অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে আলামত মিলেছে। দুই-একদিনের মধ্যে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।