প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত এক সপ্তাহে সিলেট বিভাগে ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগ বন্যার পানিতে ডুবে, বজ্রপাতে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, টিলা ধসে এবং সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, মৃতদের মধ্যে সর্বাধিক সুনামগঞ্জে ২৬ জন, সিলেট জেলায় ১৬, মৌলভীবাজারে ৪ জন, হবিগঞ্জে একজন। এর মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজারে বসতঘরের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া বাহার নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগেরদিন জৈন্তাপুরে বন্যায় নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ১৭ জন মারা গেলেও বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
সিলেটে টিলা ধসে একজন, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুজন এবং নৌকাডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান।
জৈন্তাপুর উপজেলার ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ডুবে এ উপজেলায় মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসাইন জানান, জেলায় বজ্রপাতে তিনজন ও বন্যার পানিতে ডুবে ২৩ জন এবং মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ে দুজনের, টিলা ধসে একজন এবং বন্যার পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর হবিগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে একজন মারা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৌলভীবাজারে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টিলা ধসে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশু ও মাছ ধরতে গিয়ে জুড়ি ও কুলাউড়া উপজেলায় সাপের কামড়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৫ জুন থেকে সিলেট বিভাগে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। পানিতে ডুবে গেছে সিলেট জেলা ও নগরের ৮০ ভাগ এলাকা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার অন্তত ৯০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়।